আগামী ৯-১০ ডিসেম্বর ঢাকায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হবে বিপিও সামিট ২০১৫। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ কলসেন্টার এন্ড আউটসোর্সিং (বাক্য) এর যৌথ উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী এই সামিট অনুষ্ঠিত হবে। সামিট উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক অ্যাক্টিভেশন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই ধারাবাহিকতায় ১৭ নভেম্বর মঙ্গলবার ঢাকার ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিতে অ্যাক্টিভেশন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। কার্যক্রমের অংশ হিসাবে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির হল রুমে ‘ক্যারিয়ার অপরচুনেটি ইন বিপিও ইন্ডাস্ট্রিজ’ বিষয়ক আলোচনার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপ উপাচার্য প্রফেসর ড. এম নুরুল ইসলাম, প্রধান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ কে এম জিয়াউল ইসলাম, রেজিষ্ট্রার প্রফেসর আ. সালাম মোল্লা, বাক্য এর সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী হাসান রবিন, বিক্রয় ডট কমের পরিচালক (বিপণন) মিশা আলী, ‘আমরা কোম্পানীজ’ এর হেড অফ বিজনেস সোলায়মান সুখনসহ অনেকে।
আয়োজনের শুরুতেই বিপিও সামিটের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। বক্তৃতা পর্বে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপ উপাচার্য ড. এম নুরুল ইসলাম বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে হলে তথ্যপ্রযুক্তির কোন বিকল্প নেই। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তথ্যপ্রযুক্তিকে ব্যবহার করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রযুক্তির বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
রেজিষ্ট্রার প্রফেসর আ. সালাম মোল্লা বলেন, তরুণরাই একটি দেশের চালিকা শক্তি। তরুণরা যত বেশী প্রযুক্তি ক্ষেত্রে এগিয়ে আসবে, সেই দেশের উন্নতি তত বেশী হবে। তাই সরকারের উচিত বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রযুক্তির আলো ছড়িয়ে দেওয়া।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ওয়ার্ল্ড ইউনির্ভাসিটির শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রেজেন্টেশন ও প্যানেল ডিসকাশন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিক্রয় ডট কমের আয়োজনে চাকরির আবেদন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে শিখানো হয়। ‘আমরা কোম্পানীজ’ এর উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে ভালো করা শিক্ষার্থীকে ‘আমরা কোম্পানীজ’ এর পক্ষ থেকে একটি স্মার্ট ফোন উপহার দেওয়া হয়।
অ্যাক্টিভেশন কার্যক্রম বিষয়ে ওয়ার্ল্ড ইউনির্ভাসিটির কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের ৫ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মো. ফরাদুজ্জমান ও রাসেদ বাবু জানান, এই আয়োজনে এসে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। আমাদের পাঠ্যপুস্তকের বাহিরে মাঝে মাঝে এই রকম আয়োজন করা উচিত। ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী রেহেনা খাতুন জানান, পড়াশোনা চলাকালীন সময়ে বাড়তি আয়ের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে এখানে আলোচনা করা হয়েছে, যা আমাদের কাজে লাগবে। আশা করছি ৯-১০ ডিসেম্বর সামিট চলাকালীন সময়ে এ সম্পর্কে আরও ধারনা নিতে পারব।
উল্লেখ্য, ‘বিপিও সামিট ২০১৫’ ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে। বিপিওকে মূল ¯্রােতে নিয়ে আসা, দেশের তরুণ তরুণীদের বেশি করে এই খাতে আগ্রহী করে তোলা এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের বিপিও সেক্টরের অবস্থানকে তুলে ধরার লক্ষ্য নিয়ে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।